গুনাহ থেকে বিরত থাকা যেমন ইবাদত তেমনি গুনাহ হয়ে গেলে তা থেকে মুক্তি চাওয়া ইবাদত। গুনাহ মুক্তির সেরা মৌসুম রমজান মাস। এ মাসে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে গুনাহ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। রমজানে বিশেষ দুইটি ইবাদতে গুনাহ মুক্তির কথা বলেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে গুনাহ থেকে মুক্তি লাভের দুইটি উপায় বর্ণনা করেছেন। এ দুইটি উপায় রমজানের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ইবাদতও বটে। আর তাহলো-
১. রাতের বিশেষ নামাজ তারাবি আদায় করা।
২. রোজাদারকে ইফতার করানো।
তারাবি নামাজ
ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে তারাবি পড়লে আল্লাহ বান্দার বিগত জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেন মর্মে হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে তারাবি নামাজ পড়তে উৎসাহিত করতেন, তবে তিনি (সরাসরি) তাগিদ সহকারে আদেশ করতেন না; বরং তিনি এভাবে বলতেন-
‘যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ ঈমানের সঙ্গে এবং সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসে (রাতের) নামাজ (তারাবি) পড়ে, তার বিগত (জীবনের) সব (সগিরা) গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (মুসলিম, মিশকাত)
রোজাদারকে ইফতার করানো
তারাবি ছাড়া গুনাহ থেকে মুক্তি লাভে রমজানের বিশেষ ইবাদত হলো- অন্য রোজাদারকে ইফতার করানো। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে-
‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে। সে দোজখ থেকে মুক্তি পাবে আর সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে, কিন্তু এতে রোজাদারের সওয়াব থেকে কিছুই কমানো হবে না।’
সুতরাং মুমিন মুসলমানের জন্য তারাবি নামাজ পড়ার পাশাপাশি অন্যকে ইফতার করনো অনেক ফজিলতপূর্ণ কাজ। এতে রোজাগারের গুনাহ মাফ হয়। নিজেদের মধ্যে নামাজ ও ত্যাগের অভ্যাস তৈরি হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গুনাহ থেকে ক্ষমা লাভে নিয়মিত তারাবি ও অন্যকে সাধ্যমতো ইফতার করানো কিংবা গরিব-অসহায়কে ইফতার সামগ্রী দান করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে গুনাহ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।