সত্য ও নির্ভরশীল সংবাদ প্রচারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ

সত্য ও নির্ভরশীল সংবাদ প্রচারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


পোশাকখাত যুদ্ধের দামামায় সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশের

- বিজ্ঞাপন -spot_img
সবচেয়ে জনপ্রিয়

**রাশিয়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৯ কোটি ৩০ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি
**চলতি অর্থবছরের সাত মাসে রপ্তানি ৪৫ কোটি ডলারের পোশাক
**ইউক্রেনে ২০২০-২১ অর্থবছরে এক কোটি ১৭ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি
**এই অর্থবছরের সাত মাসে রপ্তানি ৭৯ লাখ ডলারের পোশাক

করোনা মহামারির মধ্যে পোশাক কারখানা খোলা রাখার সাহসী সিদ্ধান্তে এ খাতে বড় প্রবৃদ্ধি দেখেছেন রপ্তানিকারকরা। গত বছর ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে তিন হাজার ১৪৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম আট মাসে (জুন-ফেব্রুয়ারি) দুই হাজার ৭৫০ কোটি (২৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে, যা মোট রপ্তানির আয়ের ৮১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময়ে মোট তিন হাজার ৩৮৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ।

অর্থের এই অংকই বলে দিচ্ছে, করোনা সংক্রমণের মধ্যেও পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিলেন রপ্তানিকারকরা। কিন্তু চলতি বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং সম্প্রতি বেধে যাওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে রপ্তানিকারকদের কপালে। তারা এ দুই ইস্যুর কারণে বড় সংকটে পড়ার আশঙ্কা করছেন।

প্রথম ধাক্কা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি
বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে গত নভেম্বরে দেশের বাজারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ২৩ শতাংশ । এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দুই দফায় (যথাক্রমে ৬২ ও ১৫১ টাকা করে) মোট ২১৩ টাকা দাম বাড়ানো হয়। ফলে দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও পরিবহন খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। । এর মধ্যে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচও বেড়ে গিয়ে চাপে ফেলেছে রপ্তানিকারকদের।

এ বিষয়ে নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পোশাকখাতের অগ্রগতি ব্যাহত হবে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় আমরা ভর্তুকির দাবি জানিয়েছিলাম। অন্তত এক বছর ভর্তুকি দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সব সেক্টরে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। যে যেভাবে পারছে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। তাই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিল্প কারখানার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

আবারও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ফের দাম বাড়লে বাধাগ্রস্ত হবে রপ্তানি, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শিল্প মালিকরা। তাছাড়া সব কিছুর খরচ বেড়ে গেলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারবো না। প্রতিযোগিতা না করতে পারলে রপ্তানিতে পিছিয়ে যাবো।’

- বিজ্ঞাপন -spot_img
spot_img
সর্বশেষ সংবাদ

শাকিবের সঙ্গে কীভাবে প্রেমের শুরু? জানালেন বুবলী

দেশীয় শোবিজের সবচেয়ে চর্চিত নাম এখন শাকিব খান ও বুবলী। অনেক দিন ধরে চলতে থাকা শাকিবের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে...
- বিজ্ঞাপন -spot_img
একই রকম পোস্ট
- বিজ্ঞাপন -spot_img