বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। বজ্রপাতের নির্দিষ্ট সময় না থাকলেও ঝড়-বৃষ্টির সময় এর সম্ভাবনা থাকে বেশি। এপ্রিল থেকে জুন বা বাংলা চৈত্র থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত বজ্রপাত বেশি হয়।
কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে বজ্রপাতে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকার কিছু উপায়-
>>> বজ্রঝড় সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করা।
>>> গভীর ও উলম্ব মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাইরে বের না হওয়া। অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে যাওয়া।
>>> বজ্রপাতের সময় ধানখেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়া।
>>> বজ্রপাতের আশঙ্কা হলে যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নেওয়া। বিল্ডিংয়ের ছাদে বা উঁচু ভূমিতে না যাওয়া।
>>> শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা এবং ঘরের ভেতরে নিরাপদে অবস্থান করা।
>>> বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ সব ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ রাখা এবং বজ্রপাতের আভাস পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা।
>>> বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা বা মাঠ অথবা উচুঁ স্থানে না থাকা।
>>> খোলা স্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে একত্রে না থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া।
>>> উচুঁ গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার, ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা।
>>> গভীর ও উলম্ব মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকে দূরে থাকা।
>>> বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়া, সমুদ্র বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান
>>> বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতর অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ না রাখা।