শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আরও নির্ভুলভাবে যাচাই পদ্ধতির ব্যবস্থা থাকার পরেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনে, এমন ব্যবস্থা না এনে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাসহ সবক্ষেত্রে পর্দানশিন নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলে কান খোলা ছবির বদলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষার্থীদের একটি দল।
এই দাবিতে বুধবার (২৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে মানববন্ধন করেছেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে নারীদের হিজাব খুলে কান বের করে ছবি দিতে হয়। এই নিয়ম বাতিল করে হিজাব-নিকাব মেনে চলা মেয়েদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করার দাবি জানাই।’’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক পুরুষ শিক্ষার্থী বলেন, যেসব মেয়েরা হিজাব-নিকাব মেইনটেইন করে তাদেরকে কান খুলতে বাধ্য করাটা উচিত নয়। বরং ছবির পরিবর্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করাই যুগোপযোগী এবং নিরাপদ। হিজাব-নিকাব মুসলিম নারীদের ধর্মীয় অধিকার।
কুবি শিক্ষার্থী সানজিদা আলী সানবি বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আরও নির্ভুলভাবে যাচাই পদ্ধতির ব্যবস্থা থাকার পরেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনে, এরকম ব্যবস্থা না এনে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
আরেকজন শিক্ষার্থী মুহম্মদ কায়েছুর রহমান বলেন, হিজাব খুলে কান বের করতে বাধ্য করাটা মুসলিম নারীদের জন্য অপমানজনক। এ ধরনের আইন তৈরির আগেই ভাবা উচিত ছিল। বিকল্প বায়োমেট্রিক পদ্ধতি থাকা সত্ত্বেও কোনো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মানে হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই যেসব মেয়েরা হিজাব-নিকাব পরিধান করে তাদের জন্য যেন বিকল্প বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ রাষ্ট্রীয় সব সুবিধা যেন তাদের নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) পর্দা রক্ষা করে চলেন এমন নারীদের পরিচয় শনাক্তে নিয়ম মেনে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানায় রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান।
সংগঠনটির দাবি, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতির নাম বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় এতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। এ পদ্ধতিতে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না।
এরপর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি দেখা গেল।