ঈদে যারা ট্রেনে বাড়ি ফিরবেন তাদের জন্য আজ থেকে শুরু হয়েছে অগ্রীম টিকিট বিক্রি। সকাল ৮টায় কমলাপুরসহ রাজধানীর ৬টি ও জয়দেবপুর রেলস্টেশনের কাউন্টার, ওয়েবসাইট এবং রেল সেবা (অথরাইজড) অ্যাপে একযোগ টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শাকিলা ইয়াসমিন। ফাঁকে ফাঁকে তিনি মোবাইল দিয়ে অনলাইনেও টিকিট কাটার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বেশি থাকায় এবং কমলাপুর রেলস্টেশনে এলাকায় মানুষের চাপে নেটওয়ার্ক স্লো হওয়ায় কোনোভাবেই টিকিট কাটার প্রসেসিং পর্যন্ত যেতে পারছিলেন না তিনি। শুধু শাকিলা নন, লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই চেষ্টা করছিলেন অনলাইনে টিকিট কাটার।
শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর প্রধান স্টেশন ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
শাকিলা ইয়াসমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নীলসাগর এক্সপ্রেসে দিনাজপুরের বিরামপুর যাবো। লাইনে দাঁড়িয়েছি সকাল থেকে। ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হলেও লাইন আগাচ্ছে না। কতক্ষণে কাউন্টারের সামনে যাবো এবং ততক্ষণে টিকিট থাকবে কি না জানি না। তাই অনলাইনেও চেষ্টা করছি। কিন্তু অনলাইনে টিকিট দেখালেও প্রসেসিং পর্যন্ত যেতে পারছি না। ক্ষণে ক্ষণে টিকিট কমছে।
আরেক টিকিট প্রত্যাশী ফারজানা বলেন, আমি ৫ তারিখের লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনের লালমনিরহাটের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। তবে, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে টিকিট না পেয়েই ফিরে যেতে হবে। তাই অনলাইনে চেষ্টা করছি।
শাহরিন নামে আরেকজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ৬টায় এখানে এসেছি বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের রাজশাহীর টিকিটের জন্য। কাউন্টার পর্যন্ত যেতে সামনে প্রায় ৩০ জন আছে। অনলাইনে দেখাচ্ছে, কাউন্টারে টিকিট আছে ২০টি আর অনলাইনে ১৫টি। চেষ্টা করছি, যেটা থেকে আগে সংগ্রহ করা যায়। এখানে ইন্টারনেটটাও স্লো মনে হচ্ছে।
টিকিট কাটতে আসা হুমায়ুন কবির বলেন, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য এসেছি। সমানে প্রায় শ’খানেক মানুষ। জানি না কাউন্টার থেকে টিকিট পাবো কি না। তাই অনলাইনে চেষ্টা করছি।