বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর মধ্যে ৪টির পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকি ৫টি নদীর পানিও বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে সবগুলো নদীর পানি বেড়েছে বলে শুক্রবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিব।
তিনি জানান, দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেই পানি দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে এসে পৌঁছাতে ১০/১২ দিন সময় লাগবে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় সিলেট-সুনামগঞ্জের পানি নেমে এলেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে মনে হয় না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই অঞ্চলের নদীর পানির ধারণক্ষমতা বেশি।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে।
তবে ভোলা খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া বিপৎসীমার কাছাকাছি পানি প্রবাহিত হওয়া নদীগুলোর মধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার হলেও পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। ঝালকাঠি জেলার বিশখালী নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার হলেও পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৮১ সেন্টিমিটার, পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।
এ ছাড়া বরগুনা জেলার বিশখালী নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার, পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার হলেও পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার উচ্চতায়