সারা দেশে জেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বুধবার (২৩ মার্চ) চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, সভায় কারাবন্দি আলেম উলামাদের আইনি সহায়তা ও মুক্তির কাজ বেগবান করার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি সাব-কমিটি করা হয়েছে । এতে হেফাজত নেতা অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, আল্লামা ইয়াহিয়া, আল্লামা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী রয়েছেন।
এছাড়াও বৈঠকে মাওলানা ফোরকানুল্লাহ ও মাওলানা মোবারকুল্লাহকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির করা হয়।
প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, সভার এক প্রস্তাবনায় বলা হয়, পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায় বিশ্বের সকল মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে গোপনে তাদের সম্মেলন করেছে। কোনো বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই এ সম্মেলন করতে পারায় তাদের আস্ফালন বেড়ে গেছে। তারা এখন পঞ্চগড় ও নেত্রকোনায় সাধারণ মুসলমানদের জান-মালের উপর হামলা করার মতো দুঃসাহস দেখাচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করে তাদের সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
আরেক প্রস্তাবনায় হেফাজত নেতারা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে অসাধু ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী (পীর সাহেব দেওনা), আল্লামা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া, মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান, আল্লামা তাজুল ইসলাম, আল্লামা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মুফতী মুহাম্মদ আলী, মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মুবারকুল্লাহ ও মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী প্রমুখ।