১৬ ফেব্রুয়ারি বাবার জন্মবার্ষিকী বিশেষ ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলবেন বলে স্থির করেছিলেন কিম জং উন। কিন্তু তার সেই আশা পন্ড করে দিলেন মালিরা। আর তাতেই খুব রাগলেন উত্তর কোরিয়ার প্রশাসক কিম জং উন।
এরপর আর কি! গাছে সময়মতো ফুল ফোটতে না পারায় গ্রিন হাউসের ম্যানেজার হান এবং তার সমস্ত মালিকে ছয় মাসের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন কিম।
কিমের বাবা জং-ইলের নামানুসারে ওই ফুলের নামকরণ করা হয় কিমজংগিলিয়াস। বিশেষ প্রজাতির এই ফুলের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়ার প্রয়োজন। গ্রিন হাউসে সেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে এই ফুল চাষ করা হয় উত্তর কোরিয়ায়।
সংবাদ সংস্থা ডেইলি এনকে এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৬ ফেব্রুয়ারি ছিল কিমের বাবার জন্মবার্ষিকী। কিমজংগিলিয়াস ফুল দিয়ে বাবার মূর্তি এবং ছবি সাজিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন কিম।
পরে ডেকে পাঠান গ্রিন হাউসের ম্যানেজার হানের। তিনি হাজির হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ফুল নিয়ে হাজির হতে পারেননি। কেননা সময়মতো গাছে ওই ফুট ফোটাতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। বাবার স্মৃতিতে যে ফুলের নামকরণ করা হয়েছে, সেই ফুল হাতের কাছে না পেয়ে রেগে হয়ে ওঠেন কিম।
এর আগে বাবা কিম জং ইলের দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে উত্তর কোরিয়ায় ১১ দিনের জন্য হাসি নিষিদ্ধ করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।
এমনকি এই সময়ে কেউ উচ্চস্বরে শব্দ করতে, কেনাকাটা করতে এবং মদ্যপান করতে পারবেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশটির এক বাসিন্দা বলেন, ‘অতীতে যারা এই শোকের সময়ে মদ্যপান করে বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধরা পড়েছেন তাদের আদর্শিক অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের আর দেখা মিলে নি।
তিনি আরো জানান, এই সময়ে যদি আপনার পরিবারের কেউ মারা যান তবে আপনি জোরে চিৎকার করতে পারবেন না, শোক অনুষ্ঠান শেষের পরই আপনি শেষকৃত্যের আয়োজন করতে পারবেন। শোকের সময় কারো জন্মদিন থাকলে তাও উদযাপন করা যাবে না।