দিনাজপুরের হিলিতে আমদানি ও সরবরাহ কমের অজুহাতে বেড়েছে ভারতীয় ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। আর এতে পেঁয়াজ কিনতে এসে বিপাকে পড়েছেন পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি মাসে প্রথম দুই কর্মদিবসে ভারতীয় ৪৩ ট্রাকে ১ হাজার ২০৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, হিলি বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা নাসিক জোট জাতের পেঁয়াজ কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। অন্যদিকে দেশি জাতের পেঁয়াজ কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এতে পেঁয়াজ কিনতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে পাইকারসহ সাধারণ ক্রেতাদের।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সোহেল রানা বলেন, বাজারে এসে দেখি গত দুই দিনের থেকে পেঁয়াজের দাম একটু বেশি। ২৬ টাকার পেঁয়াজ চাচ্ছে ৩০ টাকা, ৩৬ টাকা কেজির পেঁয়াজ চাচ্ছে ৪০ টাকা। আমি পেঁয়াজ কিনতে এসে তো চরম বিপাকে পড়েছি।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব বলেন, বন্দরে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণে এখান থেকে পেঁয়াজ কিনে আড়তে পাঠাতে পারছি না। কারণ কাল কম দামে পেঁয়াজ কিনেছি, সেগুলো বিক্রি শেষ করতে পারিনি। আজ বেশি দামে কিনলে লোকসান গুনতে হবে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এ জন্য দাম একটু বেড়েছে। কারণ দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ এখন অনেকটা কম, যার প্রভাবে কেজিতে ৪ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের একই অবস্থা। আমরা কম দামে পাইলে কম দামে বিক্রি করব।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আগের আইপি দিয়ে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করছি। যেকোনো সময় সেটাও বন্ধ হতে পারে।
সরকার আইপি দিলে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়বে। আর ভারতেই আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে যে কারণে একটু মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
সোহেল/এনএ