সদ্যসমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষার খাতা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়ন করিয়েছেন এক শিক্ষক। ঘটনাটি জানাজানি হলে শনিবার (১ অক্টোবর) নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে শোকজ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের আবদুল্লাহ আল-মাহমুদ মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ বছরের এসএসসির বাংলা প্রথম পত্রের খাতা দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে মূল্যায়ন করান ওই প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগের শিক্ষক শাহাদত হোসেন। ওই কক্ষের সিসিটিভিতে তা রেকর্ডও হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে শনিবার বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় শাহাদতকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতেও নানা তৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা ওয়াশিম বলেন, শাহাদত একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান পরীক্ষক। ভিডিওতে তার দায়িত্বহীনতার দৃশ্য আমাদের হতবাক করেছে। তাকে শোকজের পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক শাহাদত বলেন, ‘আমার চোখে সমস্যা থাকায় কাভারপেজের বৃত্তের কোডগুলো শিক্ষার্থীরা ভরাট করলেও মূল্যায়ন নিজে করেছি। এ ধরনের কাজ শুধু আমি নই, অনেকেই করেন।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফী উল্লাহ বলেন, বোর্ডের বণ্টন করা পাবলিক পরীক্ষার খাতা শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়ন তো দূরের কথা, তাদের দেখারই অধিকার নেই। এটি অনৈতিক, গুরুতর অপরাধের শামিল। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল হক বলেন, শুনেছি, জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশে বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিবেদন প্রস্তুত হলে আমরাও তা দেখব।